Sunday, August 29, 2021
Saturday, August 28, 2021
Wednesday, August 25, 2021
Tuesday, August 24, 2021
Tuesday, August 17, 2021
Monday, August 16, 2021
Friday, August 13, 2021
Thursday, August 12, 2021
Wednesday, August 11, 2021
Saturday, August 7, 2021
এইচএসসি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি ১ম, ২ম পত্র এসাইনমেন্ট ২০২১ উত্তর
Sunday, August 1, 2021
মূল্যবোধ ও জবাবদিহিতা সৃষ্টিতে হিসাববিজ্ঞানের ভূমিকা আলোচনা কর। জনাব শরিফুল ৪০,০০০/- টাকা নগদ এবং ৬০,০০০/- টাকার মোটরগাড়ী নিয়ে ১লা মার্চ ২০২১ইং সালে ব্যবসায় শুরু করল
- হিসাববিজ্ঞানের মূল্যবোধ ও জবাবদিহিতা ব্যাখ্যা করতে হবে
হিসাব বিজ্ঞানের ধারণা
হিসাববিজ্ঞান হল অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান যেমন ব্যবসায় বা সংঘবদ্ধ দলের আর্থিক ও অনার্থিক তথ্য পরিমাপণ, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও যোগাযোগের মাধ্যম।
হিসাব বিজ্ঞানের উদ্দেশ্য
হিসাব বিজ্ঞানের উদ্দেশ্য লেনদেন সমূহকে সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণ করে সঠিকভাবে হিসাবের বইতে লিপিবদ্ধ করা।
প্রতিষ্ঠানের সম্পদ, দায় ও মালিকানা স্বত্বের পরিমাণ, নির্ণয়ের মাধ্যমে আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারনা লাভ করা আর একটি অন্যতম উদ্দেশ্য।
স্থায়ী লিপিবদ্ধকরণ: কোন প্রতিষ্ঠান আর্থিক লেনদেন গুলো স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করাই হিসাব বিজ্ঞানের মূল উদ্দেশ্য।
হিসাববিজ্ঞানের সাহায্যে এই সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ, প্রক্রিয়াকরণ ও পরিবেশন করা যায়। ব্যবস্থাপক কর্তৃক এই সমস্ত তথ্য সঠিক বিশেষণ ও ব্যবহারের উপর প্রতিষ্ঠানের সফলতা নির্ভর করে। তাই হিসাববিজ্ঞান ব্যবসায় ব্যবস্থাপনার মৌলিক উপাদান হিসেবে স্বীকৃত।
ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ছাড়াও সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত, এনজিও এবং অ-মুনাফাভোগী প্রতিষ্ঠানে তথা ব্যক্তিক, পারিবারিক, সামাজিক, ধর্মীয়, রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের প্রতিটি ক্ষেত্রে আর্থিক লেনদেন লিখে রাখা, আর্থিক অবস্থা, লাভক্ষতি ও দেনা-পাওনা সম্পর্কে ধারণা দেওয়াই হিসাববিজ্ঞানের উদ্দেশ্য।
হিসাব বিজ্ঞানের উৎপত্তি ও. সমাজ ও পরিবেশের সাথে হিসাব বিজ্ঞানের সম্পর্ক
আধুনিক হিসাব বিজ্ঞানের উৎপত্তি ইতালিতে। ১৪৯৪ সালে ইতালিয়ান গনিতবিদ লুকা প্যাসিওলি গণিত শাস্ত্রের (সুম্মা ডি এরিথিমেটিকা, জিওমেট্রিকা, প্রপোরসোনিয়েট, প্রোপোরসনালিটা) উপর একটি বই লেখেন। এই বইয়ের পঞ্চম অধ্যায়ে তিনি হিসাববিজ্ঞানের মূল ভিত্তি দুতরফা দাখিলা পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করেন।
আমাদের প্রতিদিনের কাজের সাথে কোন না কোন ভাবে আথিক লেনদেন যুক্ত থাকে । আমাদের প্রতিদিনের বাজার , বাড়ি ভাড়া, স্কুলে খরচ, নেট বিল , বিদ্যুাৎ বিল , পানির বিল সকল ক্ষেত্রে কোন না কোন ভাবে আথিক লেনদেন হয়ে থাকে । আর হিসাব বিজ্ঞান আমাদের এই সকল লেনদেন সুনিদিষ্ট ভাবে লিপিন্ধ করতে সাহায্যে করে আমাদের সমাজ ও দেশের সাথে সম্পক তৈরি করে ।
হিসাব বিজ্ঞান ও মূল্যবােধ
মূল্যবোধ হলো ব্যক্তি ও সমাজের চিন্তা চেতনা, বিশ্বাস, ধ্যান ধারনা প্রভৃতির সমন্বয়ে দীর্ঘদিন ধরে গড়ে উঠা মানদন্ড যা দ্বারা মানুষ কোন বিষয়ে ভালমন্দ বিচার করে থাকে।
মূল্যবোধ সৃষ্টিতে হিসাব বিজ্ঞান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
হিসাব বিজ্ঞান ও জাবাবদিহিতা
১. সততা ও দায়িত্ববোধের বিকাশ : হিসাবরক্ষণের ক্ষেত্রে হিসাববিজ্ঞানের রীতি – নীতি ও কলাকৌশল যথাযথভাবে অনুসরণ করা হলে আর্থিক দুর্নীতি, জালিয়াতি, সম্পদ ইত্যাদির উপর নিয়ন্ত্রণ থাকে এবং হিসাবের স্বচ্ছতা বৃদ্ধি পায়। আর বছরের পর বছর এর অনুসরণের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদেরও দায়িত্ববোধ বিকশিত হয়।
২. ঋণ পরিশোধ সচেতনতা সৃষ্টি : হিসাববিজ্ঞান ঋণগ্রহীতাদের মধ্যে ঋণ পরিশোধে সচেতনতা সৃষ্টি করে এবং তাদের মূল্যবোধ জাগ্রত করে। ফলে ঋণখেলাপি হওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস পায়।
৩. ধর্মীয় মূল্যবোধ সৃষ্টি : সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার এবং অপ্রয়োজনীয় ব্যয় পরিহার ধর্মীয় মূল্যবোধের অংশ। সঠিক হিসাব সংরক্ষণ করলে ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে আয় বুঝে ব্যয় করার মানসিকতা সৃষ্টি ও সম্পদের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত হয়।
৪. সমাজ ও রাষ্ট্রের দায়িত্ববোধ সৃষ্টি : সরকারের আয়ের অন্যতম উৎসগুলো হচ্ছে ভ্যাট, কাষ্টমস ডিউটি, আয়কর প্রভতি। হিসাববিজ্ঞানের যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে সঠিক আয় ও ব্যয় নির্ণয় করা সম্ভব। ফলে কর ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা হ্রাস পায়।
৫. জালিয়াতি ও প্রতারণা প্রতিরোধ : সুষ্ঠু হিসাবব্যবস্থা প্রচলিত থাকলে সম্ভাব্য শাস্তি ও দুর্নামের ভয়ে প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের মধ্যে জালিয়াতি, তহবিল তছরুপ, প্রতারণাসহ বিভিন্ন অনিয়মের প্রবণতা হ্রাস পায়।
- প্রাথমিক বই জাবেদার ছক তৈরি করতে হবে
- লেনদেনের ধারণা ব্যাখ্যা করতে হবে
ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে হিসাব লিপিবদ্ধকরণের ক্ষেত্রে লেনদেন শব্দটির অর্থ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ব্যবসায় জগতে বিভিন্ন ধরনের ঘটনা উদ্ভব হলেও অর্থের অঙ্কে পরিমাপযোগ্য ঘটনা যা ব্যবসায়ের আর্থিক অবস্থার পরিবর্তন করে সেই সমস্ত ঘটনাকেই লেনদেন হিসাবে হিসাবের বইতে লিপিবদ্ধ করা হয়। লেনদেন শব্দটির আভিধানিক অর্থ হলো গ্রহণ ও প্রদান অর্থাৎ দেয়া ও নেয়া ইংরেজিতে যাকে বলা হয় মরাব ধহফ। সংঘটিত প্রতিটি ঘটনায় একাধিক পক্ষ জড়িত থাকে।
এক পক্ষ সুবিধা গ্রহণ এবং অন্যপক্ষ সুবিধা প্রদান করে। সুতরাং বলা যায়, কোনো দ্রব্য সামগ্রী ও সেবাকর্মের বিনিময়ের ফলে কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা ব্যবসায়ের আর্থিক অবস্থার পরিবর্তন হলে লেনদেনের সৃষ্টি হয়।
লেনদেনের প্রকৃতি বা বৈশিষ্ট্য
লেনদেন হতে হলে ঘটনাকে অবশ্যই অর্থের অঙ্কে
পরিমাপযোগ্য হতে হবে।Þ
কোনো ঘটনা তখনই লেনদেন হিসেবে গণ্য হবে যখন তার
দ্বারা ব্যবসায় বা প্রতিষ্ঠানের আর্থিক অবস্থার পরিবর্তন সাধিত হবে।Þ
প্রতিটি লেনদেনে দুটি পক্ষ থাকতে হবে। একপক্ষ সুবিধা গ্রহণ করবে এবং অন্যপক্ষ সুবিধা প্রদান করবে।Þ
প্রতিটি লেনদেন স্বয়ংসম্পূর্ণ অর্থাৎ একটি
আরেকটি হতে সম্পূর্ণ আলাদা হবে।Þ
দৃশ্যমান ও অদৃশ্যমান উভয় ধরনের লেনদেন হতে
পারে।Þ
ভবিষ্যতে ঘটতে পারে এমন ঘটনা ব্যবসায়ের আর্থিক
অবস্থার পরিবর্তন সাধন করলে অবশ্যই তা লেনদেন বলে গণ্য হবে।Þ
যেমন : অনাদায়ী পাওনা সঞ্চতি, বাট্টা সঞ্চিতি ইত্যাদি।
প্রতিটি লেনদেনই হিসাব সমীকরণে প্রভাব বিস্তার করে। হিসাব সমীকরণ হলো : সম্পদ = দায় + মালিকানা স্বত্ব।
- জাবেদার যোগফল নির্ণয় করতে হবে
hsc বিএম ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ১ম পত্র ১১শ শ্রেণি ১ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান/ উত্তর ২০২১
উত্তর
- কোভিড-১৯ এর ধারণা
করোনাভাইরাস, যার পোশাকি নাম কোভিড-১৯, সেই রোগটি জানুয়ারি ২০২১ নাগাদ বিশ্বের ১৯১ দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে।
এই ভাইরাস যা মানুষের ফুসফুসের মারাত্মক রোগ সৃষ্টি করে- যা পূর্বে বিজ্ঞানীদের অজানা ছিল- চীন থেকে ছড়িয়ে পড়েছে।
ভাইরাসটা কী?
করোনাভাইরাস এমন
একটি সংক্রামক ভাইরাস – যা এর আগে কখনো মানুষের মধ্যে ছড়ায়নি।
এই ভাইরাসে বিশ্বব্যাপী প্রাণহানির সংখ্যা প্রায় সাড়ে ১৮ লাখ। বিশ্বব্যাপী শনাক্তের সংখ্যা সাড়ে ৮ কোটির বেশি। (তথ্য আপডেট করা হয়েছে ৪ঠা জানুয়ারি ২০২১)
ভাইরাসটির আরেক নাম ২০১৯ – এনসিওভি বা নভেল করোনাভাইরাস। এটি এক ধরণের করোনাভাইরাস। করোনাভাইরাসের অনেক রকম প্রজাতি আছে, কিন্তু এর মধ্যে মাত্র ছয়টি প্রজাতি মানুষের দেহে সংক্রমিত হতে পারে। তবে নতুন ধরণের ভাইরাসের কারণে সেই সংখ্যা এখন থেকে হবে সাতটি।
২০০২ সাল থেকে চীনে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া সার্স (পুরো নাম সিভিয়ার এ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম) নামে যে ভাইরাসের সংক্রমণে পৃথিবীতে ৭৭৪জনের মৃত্যু হয়েছিল আর ৮০৯৮ জন সংক্রমিত হয়েছিল। সেটিও ছিল এক ধরণের করোনাভাইরাস।
নতুন এই রোগটিকে প্রথমদিকে নানা নামে ডাকা হচ্ছিল, যেমন: ‘চায়না ভাইরাস’, ‘করোনাভাইরাস’, ‘২০১৯ এনকভ’, ‘নতুন ভাইরাস’, ‘রহস্য ভাইরাস’ ইত্যাদি।
২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা রোগটির আনুষ্ঠানিক নাম দেয় কোভিড-১৯ যা ‘করোনাভাইরাস ডিজিজ ২০১৯’-এর সংক্ষিপ্ত রূপ।
- ব্যবসায়ের ধারণা
অর্থশাস্ত্রের পরিভাষায় ব্যবসায় এক ধরনের সামাজিক কর্মকাণ্ড (বিজ্ঞান) যেখানে নির্দিষ্ট সৃষ্টিশীল ও উৎপাদনীয় লক্ষ্যকে সামনে রেখে বৈধভাবে সম্পদ উপার্জন বা লাভের উদ্দেশ্যে লোকজনকে সংগঠিত করা হয় ।
তাদের উৎপাদনীয় কর্মকাণ্ড রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। ব্যক্তির মুনাফা পাওয়ার আশায় পণ্যদ্রব্য ও সেবাকর্ম উৎপাদনের মাধ্যমে উপযোগ সৃষ্টি এবং মানুষের বস্তুগত ও অবস্তুগত অভাব পূরণের লক্ষ্যে সেগুলো বণ্টন এবং এর সহায়ক সবরকম বৈধ,ঝুঁকিবহুল ও ধারাবাহিক কার্যকে ব্যবসা বলে।
আইনানুসারে, ব্যবসা বলতে সেই সংগঠনকে বুঝায়, যা অর্থের বিনিময়ে ভোক্তাকে। পণ্য বা সেবা কিংবা, দুটো সুবিধাই প্রদান করে। পুঁজিবাদ অর্থনীতিতে ব্যবসায় লণীয়ভাবে বিদ্যমান এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
এখানে প্রায়, সব ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ব্যক্তিমালিকানায় পরিচালিত হয়, যা গঠন করা হয় মূলত মুনাফা অর্জন করে মালিকের পুঁজি বৃদ্ধির জন্যে।
ব্যবসায় মুনাফার জন্য ব্যক্তি মালিকানার। ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান গুলোর মালিক বা পরিচালকবৃন্দের মূল উদ্দেশ্যের মধ্যে একটি হলো, ঝুঁকি গ্রহণ ও কার্যের বিপরীতে বিনিয়োগকৃত পুঁজি ফেরত পাওয়া।
মুনাফাবিহীন বা রাষ্ট্র মালিকানার অধীনেও ব্যবসায় করা যায়।
- প্রতিবন্ধকতার ৬টি ধাপের ব্যাখ্যা
১.ব্যক্তিগত প্রতিবন্ধকতাঃ পণ্যের উৎপাদন ও ভােক্তার মধ্যে প্রত্যক্ষ সম্পর্ক না থাকার ফলে বানিজ্যের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। পণ্যদ্রব যে স্থানে উৎপাদিত হয় সে স্থানে এর সবগুলাের চাহিদা নাও থাকতে পারে।তাই যেখানে উক্ত পন্য গুলল উৎপাদিত হয়না। সেখানে এগুলল ra প্রেরন করা অপরিহার্য। পন্য বিনিময়ের মাধ্যমে উৎপাদক ও ভােক্তার মধ্যে সংযােগ সৃষ্টি করে ব্যক্তিগত প্রতিবন্ধকতা দুর করা যায়।
২.স্থানগত প্রতিবন্ধকতাঃ উৎপাদন স্থান ও ভােগ স্থানের মধ্যে দুরত্ব বিরাজ করলে স্থানগত প্রতিবন্ধকতা দেখা যায়।উদাহরণস্বরূপসরূপকাঠি উৎপাদিত খদ্দর কাপড়ের চাহিদা যদি ঢাকায় থাকে তাহলে উভয় স্থানের মধ্যে পন্য প্রেরনে অসুবিধা দেখা যায়।
৩. সময়গত প্রতিবন্ধকতাঃ পন্যদ্রব্য উৎপাদিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সব বিক্রি হয়ে যায়না। আবার কিছু কিছু অন্য রয়েছে যেগুলাে | একটি বিশেষ মৌসুমে উৎপাদিত হয় কিন্তু এগুলাের চাহিদা থাকে সারা বছর।
৪. ঝুঁকিগত প্রতিবন্ধকতাঃ একস্থান থেকে অন্যস্থানে পণ্য
পরিবহনকালে কিংবা গুদামে থাকাকালে অগ্নিকান্ড, চুরি ডাকাতি,ঝড় তুফান, যুদ্ধ বিগ্রহ ইত্যাদি কারনে পন্য বিনষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকতে পারে। এরূপ অনিশ্চয়তামূলক পরিবেশ থেকেই ঝুকিগত প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়
৫. অর্থ সংক্রান্ত প্রতিবন্ধকতাঃ একজন ব্যবসায়ির পক্ষে সব সময় প্রয়ােজনিয় অর্থ যােগার করা সম্ভব হয়না। আবার ধারে মাল বিক্রি করলে সময় মতাে টাকা পাওয়া যায়না। এই দ্বিবিধ কারনে ব্যবসায়ীরা অর্থ সংক্রান্ত প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হন। অর্থের সংস্থানের মাধ্যমে ব্যাংকিং ব্যবস্থা অর্থ সংক্রান্ত প্রতিবন্ধকতা দুর’
৬. কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার অপর্যাপ্ততা : আমাদের দেশের সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থা মুখস্থনির্ভ্র ও তাত্ত্বিক শিক্ষাক্রমের উপর প্রতিষ্ঠিত। দীর্ঘ দিন যাবত এ ব্যবস্থা চলে আসছে। পৃথক কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা প্রচলিত থাকলেও মেধাবী শিক্ষার্থীদের এদিকে আগ্রহ কম। অন্যদিকে সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থায় কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত না থাকায় অনেক শিক্ষার্থী এ সম্পর্কে ভালোভাবে জানতেও পারে না। ফলে ব্যবসায় উদ্যোগ গ্রহণের অভ্যাস গড়ে উঠেনি।
৭. প্রচার-প্রচারণার অভাব : যে কোনো পদক্ষেপ বাস্তবায়নে প্রচার ও বিজ্ঞাপন গুরুত্বপূর্ণ্ ভূমিকা পালন করে। ব্যবসায় উদ্যোগ উন্নয়নে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্নমুখী পদক্ষেপ এ সম্পর্কে যথেষ্ট ও কার্য্কর প্রচার না থাকায় গ্রাম ও শহরের অনেক মেধাবী তরুণ-তরুণী, বেকার যুব শক্তি এ সম্পর্কে জানতে পারছে না। ফলে ব্যবসায় উদ্যোগ উন্নয়ন কর্ম্ সূচি সার্থ্কতা লাভ করছে না।
- দূরীকরণের ৬টি উপায়
বিনিময়ঃ বিনিময়ের সাহায্যে বানিজ্য ব্যক্তিগত। বাধাসমুহ দূরীভুত করে থাকে।বিনিময় বানিজ্যের গুরুত্বপূর্ণ। শাখা হিসাবে উৎপাদনকারী ও ক্রেতা বা ভােক্তাদের মধ্যে ক্রয় বিক্রয় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যােগাযােগ ঘটিয়ে ব্যক্তিগত বাঁধা। অপসারন করে। ।
পরিবহনঃ বানিজ্যের স্থানগত প্রতিবন্ধকতা পরিবহন দ্বারা অপসারন করা হয়। পন্যদ্রব্য ও সেবা সামগ্রী। উৎপাদন স্থান। হতে চাহিদার স্থানে আনায়ন করার প্রক্রিয়াকে পরিবহন বলে। বানিজ্য পরিবহন ব্যবস্থার মাধ্যমে উৎপাদিত পন্যদ্রব উৎপাদন। স্থান হতে ভােগ স্থানে স্থান্তরের মাধ্যমে স্থানগত প্রতিবন্ধকতা। দূর করা যায়। ।
গুদামজাতকরনঃ পন্যদ্রব্য গুদামজাতকরনের মাধ্যমে বানিজ্যের সময়গত প্রতিবন্ধকতা দূর করা যায়। উৎপাদনকারী, আমদানিকারক ও পাইকারগন সময়গত বাধা অপসারনের। জন্য নিজেদের উদ্যোগেই গুদামের ব্যবস্থা করে।অবশ্য বর্তমান। সময়ে মুনফা অর্জনের উদ্দেশ্য গুদাম সুবিধা প্রদানের জন্য। কোল্ড স্টোরেজ এর মতাে বিভিন্ন ব্যবসায়ী শ্রেণি গড়ে উঠেছে। যাদের কাজও বানিজ্য হিসাবে বিবেচনা করা হয়। ।
বিমাঃ পন্য বন্টনের ক্ষেত্রে সৃষ্ট ঝুঁকিগত প্রতিবন্ধকতা বিমার | মাধ্যমে প্রতিহত করা যায়। পন্য ও ব্যবসায়ের উপযুক্ত বিমা করে। ব্যবসায়ী এসব ঝুঁকির হাত হতে রক্ষা পেতে পারে। কারন যেকোনাে ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে বিমা কম্পানি চুক্তি হিসাবে ক্ষতি পুরন দিয়ে থাকে।এজন্য নৌ-বিমা, অগ্নি-বিমা, দুর্ঘটনা বিমা, জীবন বিমা ইত্যাদির নেয় বিভিন্ন ধরনের বিমা পলিসি গ্রহনের সুযােগ প্রদান ।
ব্যাংকঃ অর্থ সংস্থাগত প্রতিবন্ধকতা অপসারনের লক্ষ্যে ব্যাংক ব্যবস্থার উদ্ভব হয়েছে। ব্যাংক ব্যবসায়িকে পণ্যদ্রব্য উৎপাদন ও বন্টনের বিভিন্ন পর্যায়ে অর্থের যােগান দিয়ে অর্থগত বাধা দুর করে। তাছাড়া বর্তমান সময়ে আধুনিক ব্যবসা বানিজ্যের অধিকাংশ লেন। দেন ব্যাংকের মাধ্যমে নিষ্পন্ন হয়।
বিজ্ঞাপন ও প্রচারঃ বিজ্ঞাপন ও প্রচার কার্যের মাধ্যমে উৎপাদিত। পন্য সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য সম্ভাব্য ক্রেতাদের নিকট উপস্থাপন করা হয়। এতে ক্রেতা বা ভােক্তা সাধারন সংশ্লিষ্ট পন্য সম্পর্কে যথাযথ। জ্ঞান। লাভ করে এবং পণ্য ক্রয়ে আগ্রহী হয়।
- কার্য কর ও বাস্তব ভিত্তিক পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
- ব্যাপক প্রশিক্ষণ কর্ম্ সূচি গ্রহণ করতে হবে।
- দেশব্যাপী ব্যাপক প্রচার-প্রচারণার ব্যবস্থা করতে হবে।
- কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার প্রসার বাড়াতে হবে।
- উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগ-পরামর্শ্ প্রদানের ব্যবস্থা
করতে হবে।
- প্রয়োজনীয় অর্থ্ সংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।
- মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাক্রম শিল্পোদ্যোগ উন্নয়ন এটি ব্যাপকভাবে অন্তভুর্ক্ত করতে হবে।
- রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে হবে।