উত্তর
- কোভিড-১৯ এর ধারণা
করোনাভাইরাস, যার পোশাকি নাম কোভিড-১৯, সেই রোগটি জানুয়ারি ২০২১ নাগাদ বিশ্বের ১৯১ দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে।
এই ভাইরাস যা মানুষের ফুসফুসের মারাত্মক রোগ সৃষ্টি করে- যা পূর্বে বিজ্ঞানীদের অজানা ছিল- চীন থেকে ছড়িয়ে পড়েছে।
ভাইরাসটা কী?
করোনাভাইরাস এমন
একটি সংক্রামক ভাইরাস – যা এর আগে কখনো মানুষের মধ্যে ছড়ায়নি।
এই ভাইরাসে বিশ্বব্যাপী প্রাণহানির সংখ্যা প্রায় সাড়ে ১৮ লাখ। বিশ্বব্যাপী শনাক্তের সংখ্যা সাড়ে ৮ কোটির বেশি। (তথ্য আপডেট করা হয়েছে ৪ঠা জানুয়ারি ২০২১)
ভাইরাসটির আরেক নাম ২০১৯ – এনসিওভি বা নভেল করোনাভাইরাস। এটি এক ধরণের করোনাভাইরাস। করোনাভাইরাসের অনেক রকম প্রজাতি আছে, কিন্তু এর মধ্যে মাত্র ছয়টি প্রজাতি মানুষের দেহে সংক্রমিত হতে পারে। তবে নতুন ধরণের ভাইরাসের কারণে সেই সংখ্যা এখন থেকে হবে সাতটি।
২০০২ সাল থেকে চীনে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া সার্স (পুরো নাম সিভিয়ার এ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম) নামে যে ভাইরাসের সংক্রমণে পৃথিবীতে ৭৭৪জনের মৃত্যু হয়েছিল আর ৮০৯৮ জন সংক্রমিত হয়েছিল। সেটিও ছিল এক ধরণের করোনাভাইরাস।
নতুন এই রোগটিকে প্রথমদিকে নানা নামে ডাকা হচ্ছিল, যেমন: ‘চায়না ভাইরাস’, ‘করোনাভাইরাস’, ‘২০১৯ এনকভ’, ‘নতুন ভাইরাস’, ‘রহস্য ভাইরাস’ ইত্যাদি।
২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা রোগটির আনুষ্ঠানিক নাম দেয় কোভিড-১৯ যা ‘করোনাভাইরাস ডিজিজ ২০১৯’-এর সংক্ষিপ্ত রূপ।
- ব্যবসায়ের ধারণা
অর্থশাস্ত্রের পরিভাষায় ব্যবসায় এক ধরনের সামাজিক কর্মকাণ্ড (বিজ্ঞান) যেখানে নির্দিষ্ট সৃষ্টিশীল ও উৎপাদনীয় লক্ষ্যকে সামনে রেখে বৈধভাবে সম্পদ উপার্জন বা লাভের উদ্দেশ্যে লোকজনকে সংগঠিত করা হয় ।
তাদের উৎপাদনীয় কর্মকাণ্ড রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। ব্যক্তির মুনাফা পাওয়ার আশায় পণ্যদ্রব্য ও সেবাকর্ম উৎপাদনের মাধ্যমে উপযোগ সৃষ্টি এবং মানুষের বস্তুগত ও অবস্তুগত অভাব পূরণের লক্ষ্যে সেগুলো বণ্টন এবং এর সহায়ক সবরকম বৈধ,ঝুঁকিবহুল ও ধারাবাহিক কার্যকে ব্যবসা বলে।
আইনানুসারে, ব্যবসা বলতে সেই সংগঠনকে বুঝায়, যা অর্থের বিনিময়ে ভোক্তাকে। পণ্য বা সেবা কিংবা, দুটো সুবিধাই প্রদান করে। পুঁজিবাদ অর্থনীতিতে ব্যবসায় লণীয়ভাবে বিদ্যমান এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
এখানে প্রায়, সব ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ব্যক্তিমালিকানায় পরিচালিত হয়, যা গঠন করা হয় মূলত মুনাফা অর্জন করে মালিকের পুঁজি বৃদ্ধির জন্যে।
ব্যবসায় মুনাফার জন্য ব্যক্তি মালিকানার। ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান গুলোর মালিক বা পরিচালকবৃন্দের মূল উদ্দেশ্যের মধ্যে একটি হলো, ঝুঁকি গ্রহণ ও কার্যের বিপরীতে বিনিয়োগকৃত পুঁজি ফেরত পাওয়া।
মুনাফাবিহীন বা রাষ্ট্র মালিকানার অধীনেও ব্যবসায় করা যায়।
- প্রতিবন্ধকতার ৬টি ধাপের ব্যাখ্যা
১.ব্যক্তিগত প্রতিবন্ধকতাঃ পণ্যের উৎপাদন ও ভােক্তার মধ্যে প্রত্যক্ষ সম্পর্ক না থাকার ফলে বানিজ্যের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। পণ্যদ্রব যে স্থানে উৎপাদিত হয় সে স্থানে এর সবগুলাের চাহিদা নাও থাকতে পারে।তাই যেখানে উক্ত পন্য গুলল উৎপাদিত হয়না। সেখানে এগুলল ra প্রেরন করা অপরিহার্য। পন্য বিনিময়ের মাধ্যমে উৎপাদক ও ভােক্তার মধ্যে সংযােগ সৃষ্টি করে ব্যক্তিগত প্রতিবন্ধকতা দুর করা যায়।
২.স্থানগত প্রতিবন্ধকতাঃ উৎপাদন স্থান ও ভােগ স্থানের মধ্যে দুরত্ব বিরাজ করলে স্থানগত প্রতিবন্ধকতা দেখা যায়।উদাহরণস্বরূপসরূপকাঠি উৎপাদিত খদ্দর কাপড়ের চাহিদা যদি ঢাকায় থাকে তাহলে উভয় স্থানের মধ্যে পন্য প্রেরনে অসুবিধা দেখা যায়।
৩. সময়গত প্রতিবন্ধকতাঃ পন্যদ্রব্য উৎপাদিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সব বিক্রি হয়ে যায়না। আবার কিছু কিছু অন্য রয়েছে যেগুলাে | একটি বিশেষ মৌসুমে উৎপাদিত হয় কিন্তু এগুলাের চাহিদা থাকে সারা বছর।
৪. ঝুঁকিগত প্রতিবন্ধকতাঃ একস্থান থেকে অন্যস্থানে পণ্য
পরিবহনকালে কিংবা গুদামে থাকাকালে অগ্নিকান্ড, চুরি ডাকাতি,ঝড় তুফান, যুদ্ধ বিগ্রহ ইত্যাদি কারনে পন্য বিনষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকতে পারে। এরূপ অনিশ্চয়তামূলক পরিবেশ থেকেই ঝুকিগত প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়
৫. অর্থ সংক্রান্ত প্রতিবন্ধকতাঃ একজন ব্যবসায়ির পক্ষে সব সময় প্রয়ােজনিয় অর্থ যােগার করা সম্ভব হয়না। আবার ধারে মাল বিক্রি করলে সময় মতাে টাকা পাওয়া যায়না। এই দ্বিবিধ কারনে ব্যবসায়ীরা অর্থ সংক্রান্ত প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হন। অর্থের সংস্থানের মাধ্যমে ব্যাংকিং ব্যবস্থা অর্থ সংক্রান্ত প্রতিবন্ধকতা দুর’
৬. কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার অপর্যাপ্ততা : আমাদের দেশের সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থা মুখস্থনির্ভ্র ও তাত্ত্বিক শিক্ষাক্রমের উপর প্রতিষ্ঠিত। দীর্ঘ দিন যাবত এ ব্যবস্থা চলে আসছে। পৃথক কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা প্রচলিত থাকলেও মেধাবী শিক্ষার্থীদের এদিকে আগ্রহ কম। অন্যদিকে সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থায় কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত না থাকায় অনেক শিক্ষার্থী এ সম্পর্কে ভালোভাবে জানতেও পারে না। ফলে ব্যবসায় উদ্যোগ গ্রহণের অভ্যাস গড়ে উঠেনি।
৭. প্রচার-প্রচারণার অভাব : যে কোনো পদক্ষেপ বাস্তবায়নে প্রচার ও বিজ্ঞাপন গুরুত্বপূর্ণ্ ভূমিকা পালন করে। ব্যবসায় উদ্যোগ উন্নয়নে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্নমুখী পদক্ষেপ এ সম্পর্কে যথেষ্ট ও কার্য্কর প্রচার না থাকায় গ্রাম ও শহরের অনেক মেধাবী তরুণ-তরুণী, বেকার যুব শক্তি এ সম্পর্কে জানতে পারছে না। ফলে ব্যবসায় উদ্যোগ উন্নয়ন কর্ম্ সূচি সার্থ্কতা লাভ করছে না।
- দূরীকরণের ৬টি উপায়
বিনিময়ঃ বিনিময়ের সাহায্যে বানিজ্য ব্যক্তিগত। বাধাসমুহ দূরীভুত করে থাকে।বিনিময় বানিজ্যের গুরুত্বপূর্ণ। শাখা হিসাবে উৎপাদনকারী ও ক্রেতা বা ভােক্তাদের মধ্যে ক্রয় বিক্রয় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যােগাযােগ ঘটিয়ে ব্যক্তিগত বাঁধা। অপসারন করে। ।
পরিবহনঃ বানিজ্যের স্থানগত প্রতিবন্ধকতা পরিবহন দ্বারা অপসারন করা হয়। পন্যদ্রব্য ও সেবা সামগ্রী। উৎপাদন স্থান। হতে চাহিদার স্থানে আনায়ন করার প্রক্রিয়াকে পরিবহন বলে। বানিজ্য পরিবহন ব্যবস্থার মাধ্যমে উৎপাদিত পন্যদ্রব উৎপাদন। স্থান হতে ভােগ স্থানে স্থান্তরের মাধ্যমে স্থানগত প্রতিবন্ধকতা। দূর করা যায়। ।
গুদামজাতকরনঃ পন্যদ্রব্য গুদামজাতকরনের মাধ্যমে বানিজ্যের সময়গত প্রতিবন্ধকতা দূর করা যায়। উৎপাদনকারী, আমদানিকারক ও পাইকারগন সময়গত বাধা অপসারনের। জন্য নিজেদের উদ্যোগেই গুদামের ব্যবস্থা করে।অবশ্য বর্তমান। সময়ে মুনফা অর্জনের উদ্দেশ্য গুদাম সুবিধা প্রদানের জন্য। কোল্ড স্টোরেজ এর মতাে বিভিন্ন ব্যবসায়ী শ্রেণি গড়ে উঠেছে। যাদের কাজও বানিজ্য হিসাবে বিবেচনা করা হয়। ।
বিমাঃ পন্য বন্টনের ক্ষেত্রে সৃষ্ট ঝুঁকিগত প্রতিবন্ধকতা বিমার | মাধ্যমে প্রতিহত করা যায়। পন্য ও ব্যবসায়ের উপযুক্ত বিমা করে। ব্যবসায়ী এসব ঝুঁকির হাত হতে রক্ষা পেতে পারে। কারন যেকোনাে ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে বিমা কম্পানি চুক্তি হিসাবে ক্ষতি পুরন দিয়ে থাকে।এজন্য নৌ-বিমা, অগ্নি-বিমা, দুর্ঘটনা বিমা, জীবন বিমা ইত্যাদির নেয় বিভিন্ন ধরনের বিমা পলিসি গ্রহনের সুযােগ প্রদান ।
ব্যাংকঃ অর্থ সংস্থাগত প্রতিবন্ধকতা অপসারনের লক্ষ্যে ব্যাংক ব্যবস্থার উদ্ভব হয়েছে। ব্যাংক ব্যবসায়িকে পণ্যদ্রব্য উৎপাদন ও বন্টনের বিভিন্ন পর্যায়ে অর্থের যােগান দিয়ে অর্থগত বাধা দুর করে। তাছাড়া বর্তমান সময়ে আধুনিক ব্যবসা বানিজ্যের অধিকাংশ লেন। দেন ব্যাংকের মাধ্যমে নিষ্পন্ন হয়।
বিজ্ঞাপন ও প্রচারঃ বিজ্ঞাপন ও প্রচার কার্যের মাধ্যমে উৎপাদিত। পন্য সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য সম্ভাব্য ক্রেতাদের নিকট উপস্থাপন করা হয়। এতে ক্রেতা বা ভােক্তা সাধারন সংশ্লিষ্ট পন্য সম্পর্কে যথাযথ। জ্ঞান। লাভ করে এবং পণ্য ক্রয়ে আগ্রহী হয়।
- কার্য কর ও বাস্তব ভিত্তিক পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
- ব্যাপক প্রশিক্ষণ কর্ম্ সূচি গ্রহণ করতে হবে।
- দেশব্যাপী ব্যাপক প্রচার-প্রচারণার ব্যবস্থা করতে হবে।
- কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার প্রসার বাড়াতে হবে।
- উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগ-পরামর্শ্ প্রদানের ব্যবস্থা
করতে হবে।
- প্রয়োজনীয় অর্থ্ সংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।
- মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাক্রম শিল্পোদ্যোগ উন্নয়ন এটি ব্যাপকভাবে অন্তভুর্ক্ত করতে হবে।
- রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে হবে।
0 Comments:
Post a Comment